নিবন্ধন বাতিলকৃত বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বাকশাল শাখার সাভার অঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রি ওরফে বটতলার উকিল টাক্লা কাম্রুল বলেছেন বিএনপি না এলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। তিনি বলেন নির্বাচন হোক না হোক ক্ষমতা আঁকড়াইয়া থাকা আম্বালীগের অধিকার। সংবিধানে যাই থাকুক কার বাপের কী? আগামীতে নির্বাচন হোক আর নাই হোক বিএনপি অংশগ্রহণ করুক নাইলে শাহরিয়ার কবীরের পুটু মারুক সংসদের গদি কারো জন্য খালি থাকবে না।
টাকের চেক্সি লুক
বি.এন.পির উচিত আমাদের কথামতো নোবেল দাবিদার, সমুদ্রকন্যা জাতির আম্মার অধীনে নির্বাচন করা। তবে তারা নির্বাচন না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না। আমরা ভারতে উৎপত্তিলাভ কৃত জামায়াতে ইসলামীর উপর থেকে বি.এন.পির অবৈধ দখলদারিত্ব নাই করতে তাদের নিবন্ধন বাতিল করিয়াছি। তাহারা এখন গণিমতের মাল হিসেবে আমাদের সাথেই থাকবে। এর্শাদ লুইচ্ছা হালায় যদি আমাগের সাথে টাল্টি-বাল্টি করে সোজো চৌদ্দ-শিকে ভরমু। তো আমরাই ক্ষমতাই যামু আর বিএনপি অনুশোচনা করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আগ্রহী শ্রোতাদের একাংশ
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জনতার প্রত্যাশা আর আম্বালীগের ভাঁড়ামো’ প্রতিবাদ সভায় তিনি আরো বলেন, আমরা দেশ ডিজিটাল করিয়াছি, পদ্মাসেতু না করিয়া ধ্বসিয়া পড়ার হাত থেকে আমাপর জনতাকে রক্ষা করিয়াছি, আমাদের কেরামতিতে দেশে আর বিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জোকারি করিয়া জাতির সামনে লাল মুলা ঝুলাইয়া রাখছি, বেকুব সাংবাদিক সাগর আর বউ বজ্জাত মাইয়্যা রুনিরে জাহান্নামে পাঠাইছি, টাল্টি বাল্টি করায় মাহমুদুর রহমানকে রিমাণ্ডে লৈয়াছি, সর্কারী খরচে মোজা বাবুকে এমনভাবে পালতেছি ৭১ সালে শাহরিয়ার কবীর পাকিস্তানিদের যেমনে আদর যত্ম করিয়াছিলেন সেই কথা মনে হৈতেছে।
দৈনিক উটপাখির সংবাদ সংগ্রাহক মাইক আউগাইয়া দিতেই আবেগঘন কন্ঠে কাম্রুল বলেন বেদ্দুপ পুলাপাইন আমারে টাকলু কয়, আমি নাকি বটতলার উকিল। আরে বেকুবের দল তোরা কি জানিস টাকপড়া অনন্ত যৌবনের প্রতীক প্লেবয় ম্যাগাজিনের মালিক হিউ হেফনারেও টাকলু। এই টাকের একটা চেক্সি লুক আছে। গৌতম বুদ্ধ থেকে শুরু করে মহাবীর প্রত্যেকেই বটতলা থেকেই ধ্যান করে সিদ্ধ হয়েছিলেন। আমিও বটতলায় ওকালতি চর্চা করিয়াছি। শেষ পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের নায়েবে আমির হৈয়াছি।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের মানুষ ২০০৮ এর মতো আগামীতেও বিম্পিকে প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য থাকবে। আর প্রত্যাখ্যান না করলে সালা ঘোচুর দল , আবাল জনগণ তোমাগের ডাণ্ডা মাইরা ঠাণ্ডা করা হৈবেক। ক্যান এই প্রেসক্লাবের অনতিদূরে সেই থার্টি ফাস্ট নাইটের কথা মনে নাই। কিভাবে বাঁধনের বস্ত্রহরণ করা হয়েছিলো খেয়াল নাই। একটি বস্ত্রহরণ দৃশ্য শো করা হয় পাওয়ার পয়েন্টে।
পাওয়ার পয়েন্টে দেখানো বস্ত্রহরণ দৃশ্য,
বেকুবের দল তোমরা ভুইলা যাইয়ো না আমাদের যুবরাজ জয়ের কাছে তথ্য আছে, আমাদের হাতে পরিমল আছে, মানিক আছে আছে ব্যারিস্ট্যার আমীরের ডান হাত, তানিয়া আমীরের ঘেটু কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টার। সো নো টাল্টি-বাল্টি। এই সময় ফটোগ্রাফ নমুনা হিসেবে পাউয়ার পয়েন্টে শো করা হয়। চক্কু কোটরাগত অবস্থায় কাম্রুল বলেন দেখো ফারুককে কেমনে পিটাইয়া লম্বা করছি…
ফারুককে ধোলাইয়ের ফডু শো করা হয় পাওয়ার পয়েন্টে
এই সময় বন ও পাউরুটি প্রতিমন্ত্রি হাসান মাহমুদ তার সাথে যোগদান করেন। তিনি বলেন আমরা দেশকে এমুন ডিজিটাল করিয়াছি যেখানে মানুষ ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়। আর আমরা শাহবাগী ব্লগার দিয়া পুরো দেশ চালাই। আমাদের এম্রান চোদনা গলায় গামছা দিয়া যে চেতনা উদ্ধার করছে তা আর কিছুই না বাংলার লাখো সাণ্ডার তেল আর সাপের তাবিজ বিক্রেতা তাকে যুগ যুগ মনে রাখবে। আমরা আমাদের সাথে পণ্ডিতি ফলানোতে ক্লাস ফোরের পুলা ত্বকীরে দুনিয়ার ওপারে পাঠাইয়া দিয়াছি। আমরা ইলিয়াস আলীকে ভ্যানিশিং ক্রিমের মতো হাউয়া কৈরা দিছি। আমরা মাত্র ৪ হাজার কোটি টেকারে কুনো টেকাটুকার পর্যায়েই ধরিনা। আমাদের আস্কারাতেই হলমার্ক তানভীর দেশের মুখ উজ্জল করিয়াছেন। ভাবতেছি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইউনুসের কান ধরিয়া নোবেল কাইড়া আইনা সেইডা তানভীরকে দিমু। আপনারা জানেন আমরা ক্ষমতায় আইলে মানুষ নতুন কিছু দেখে।….
সো আমাদের মুখের দিকে তাকাইয়া ভাবতে থাকুন.. হোয়াটস নেক্সট। আমরা যখন এর উত্তর খুইজ্জা নাকাল তখন ঢাকা চিড়িয়াখানা নিবাসী এরশাদ কাগুর মতো এক কিংকং আংকেল উপযুক্ত জবাব দিলেন। আসুন ছবিতে দেখি
হাসান মাহমুদের প্রশ্নোত্তরে কিংকং কাগু
উত্তর দেয়ার প্যাটার্নে আমরা পুরাই মানণীয় স্পিকার হয়া যাই।